আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমিতি বা সংগঠন, নিউজ পেপার, ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রচারনা কিংবা ব্লগিং করে প্রচার-প্রসারসহ অর্থনৈতিক উন্নতি চাইলে বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট সবচেয়ে ভালো মাধ্যম।
আমরা কেউই পিছিয়ে পড়তে চাই না, তবে আধুনিকতাকে যারা মেনে নিবে তারা এগিয়ে যাবে আর যারা মানতে পারে না কিংবা মেনে নিতে দেরি করে তারা পিছিয়ে পড়বে এটাই বাস্তবতা।
একটি ওয়েবসাইট কেউ এক দিনের জন্য করে না। কারন ওয়েবসাইট তৈরির পরে দিনে দিনে এর ব্যবহার যেমন বাড়ে তেমনি একটি প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি ও কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্য প্রচার প্রসারের মাধ্যমে এটি সম্পদে পরিনত হয়। যা একটি প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
কেউ কেউ আবার ওয়েবসাইট থেকে আয়ও করে। আপনার ওয়েবসাইটটি যদি ভালো হয়, নির্ভরযোগ্য তথ্যবহুল হয় তবে আপনার ওয়েবসাইট এ বেশি ভিজিটর থাকবে এটিই স্বাভাবিক। আর যার কাছে ভিজিটর আছে তার জন্য আয় করা কোন বিষয়ই না।
অতএব ভালোমানের ওয়েবসাইট করতে চাই নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। সেটি হতে পারে কাছে কিংবা দূরে কিন্তু থাকতে হবে সততা ও গ্রহনযোগ্যতা।
ওয়েবসাইট ব্যবহার করলে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন জানতে নিচের অংশটুকু পড়ুন এবং সঠিক নিয়মে ভালো মানের ওয়েবসাইট তৈরি করতে আজই যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।
মোবাইলঃ 01733-761771, 01718-928077
সুবিধাসমূহ:
১. প্রাতিষ্ঠানিক প্রচারঃ একটি ওয়েবসাইট আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচার শুধু দেশে নয় বিদেশেও করতে সক্ষম। সরাসরি মেইলিং, ম্যাসেঞ্জার, গুগল সার্চ, সোস্যার শেয়ার, লিংক শেয়ার ইত্যাদি মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট পৌঁছে দিবে আপনার তথ্য লক্ষ কোটি মানুষের মাঝে।
২. পন্য বা সেবা সম্পর্কে গ্রাহককে ধারনা প্রদানঃ আপনার পন্য বা সেবা সম্পর্কে জানতে গ্রাহককে আসতে হবে আপনার প্রতিষ্ঠানে। তাই নয় কি! আর যদি আপনার প্রতিষ্ঠান এবং পণ্য বা সেবা আপনার ওয়েবসাইট এ থাকে তবে গ্রাহক কিন্তু আপনার সাইট থেকে দেখে নিতে পারছে। পেয়ে যাবে আপনার সাথে যোগাযোগের উত্তম পদ্ধতিও।
৩. ২৪ ঘন্টার প্রতিনিধিঃ আপনার প্রতিষ্ঠানতো খোলা থাকে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। আমরা সাধারনতো রাতে ঘুমাই কিন্তু আপনার ওয়েব ভিত্তিক ভার্চুয়াল প্রতিষ্ঠান খোলা থাকে ২৪ ঘন্টা।
৪. লিড জেনারেশনঃ আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটে লিড জেনারেশন করতে পারেন। অর্থাৎ আপনার পণ্য যাদের ভালো লাগে তাদের কিছু তথ্য আপনি সংরক্ষন করতে পারেন এবং পরবর্তীতে তাদের সাথে করতে পারেন যোগাযোগ, দিতে পারেন বিভিন্ন অফার আর পেতে পারেন অধিক সেল।
৫. আবেদন প্রক্রিয়াঃ অনেক প্রতিষ্ঠান বিভিন্নরকম আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করে থাকে। এজন্য তাদের যেতে হয় ডোর টু ডোর। এ কাজটি এখন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব ভালোভাবেই করা যাচ্ছে।
৬. কাষ্টমার রিভিউঃ আপনার প্রডাক্ট বা সেবা গ্রাহকদের সন্তুষ্টি পূরন করতে পারছে কিনা সেটি জানাটাও কিন্তু একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আপনার জন্য জরুরি। কেননা কাষ্টমার রিভিউ এর উপর ভিত্তি করেই কিন্তু আমরা পরবর্তী ব্যবসায়িক প্লান সেট করে থাকি। আর এটি যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা যায় তবে সেটি হবে সহজ এবং ঝামেলামুক্ত একটি পদ্ধতি।
৭. সিদ্ধান্ত গ্রহনঃ আপনি ব্যবসা শুরু করার আগে বা মধ্যে যেকোন সময় সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে যদি বাহিরের বিভিন্ন ক্যাটাগরির মানুয়ের মন্তব্য নিতে চান তবে অবশ্যই ওয়েবসাইট এর বিকল্প নেই।
৮. এনালাইটিকস থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহনঃ আপনার ওয়েবসাইটটি যখন সঠিকভাবে পরিচালনা করবেন তখন এর জন্য একটি এ্যানালাইটিকস চালু থাকবে। এই অ্যানালাইটিকস থেকে জানতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইট কোন স্থানের মানুষ বেশি দেখে, পুরুষ ভিজিটর বেশি নাকি মহিলা, কোন ডিভাইজ থেকে বেশি দেখে, কোন টপিকসগুলো বেশি দেখে ইত্যাদি ইত্যাদি। অতএব আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহন খুবই সহজ। যেটি ওয়েবসাইট না হলে আপনার জন্য কখনই করা সম্ভব না।
৯. জরুরি সমস্যার সমাধানঃ ধরুন আমার একটি পণ্য দরকার হাতের কাছে বাজারে পাচ্ছি না। খোজ নিতে হবে দূরের বড় মার্কেটে। এখন আপনি যাবেন!! এতে খরচ হবে সময় শ্রম এবং অর্থ। একই বিষয় আপনি ওয়েবে সার্চ করলে পেয়ে যাচ্ছেন। এখন কথা হচ্ছে যারা ওয়েব মেইনটেইন করে তারা এই কাস্টমার পেল আর যারা আধুনিকতায় পিছিয়ে আছে তারা পাবে না।
১০. সঠিক সময়ে বার্তা প্রদানঃ আপনি আপনার টার্গেটকৃত কাষ্টমারদের একটি বার্তা জানাতে চান!! এক্ষেত্রে ওয়েবসাইট বাদে অন্য কোন বিকল্প সহজ উপায় নেই।
১১. দ্রুত তথ্যের প্রসারঃ ভাইরাল শব্দটির সাথে এখন আমরা সকলেই পরিচিত। আর ওয়েবসাইটের তথ্য শেয়ারিং পদ্ধতিতে যত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সেটি অন্যকোন মাধ্যমে সম্ভব নয়।
১২. ইকমার্সঃ এটি সবচেয়ে আধুনিক ব্যবসা পদ্ধতি। আপনার পণ্য বা সেবা এখন ঘরে বসে খুব সহজেই ভোক্তাদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। পাশাপাশি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্যের অর্ডার থেকে শুরু করে সকল ধরনের তথ্য সংরক্ষন করা যাবে। এমনকি আপনি চাইলে টাকা লেনদেন এর বিষয়টিও অটোমেটিক করা সম্ভব।
১৩. হিসাব সংরক্ষনঃ আপনার কোন ধরনের হিসেব সংরক্ষন করা দরকার প্রত্যেকটি হিসেব আপনি ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে সংরক্ষন করতে পারবেন। খাতা বা কম্পিউটারে লিখলে সেটিতো একটি নির্দিষ্ট স্থানে থাকে। আর ওয়েবসাইটে লিখলে সেটি আপনার যখন প্রয়োজন ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে আপনার ওয়েবে গোপন নথিও সংরক্ষন করতে পারেন।
১৪. দূরবর্তী কাস্টমার প্রাপ্তিঃ আপনি আজকে আপনার নিকটস্থ কাষ্টমার নিয়ে ভাবছেন। কিন্তু ওয়েবসাইট আপনার পণ্যের গুনাগুন বিবেচনা করে আপনাকে দিতে পারে দূরবর্তী কাষ্টমার যা হতে পারে আপনার বড় আয়ের উৎস।
১৫. সহজ মনিটরিংঃ যারা কখনো ওয়েবসাইট ব্যবহার করেনি তাদের কাছে হয়তো মনে হতে পারে এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। আসলে কিন্তু তা নয়, আপনি একসময় ফেসবুক, ইউটিউব জানতেন না আজকে আপনার প্রয়োজনই আপনাকে শিখতে বাধ্য করেছে। এটিও তার ব্যতিক্রম হবে না।
আশা করি ওয়েবসাইট ব্যবহারের সুবিধাসমূহ এখন আপনার কাছে পরিস্কার। আজ নয়তো কাল আপনিও ওয়েবসাইট খুলবেন!! অতএব সঠিক নিয়মে, তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে ভালো মানের ওয়েবসাইট খুলতে এবং বিক্রয়োত্তর সেবা পেতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।
মোবাইলঃ 01733-761771, 01718-928077