বর্তমানে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে অফিস, ফ্যাক্টরি, বাসাবাড়িসহ ছোট বড় প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানেই সিসিটিভি ক্যামেরা বা আইপি ক্যামেরা ব্যবহারের চাহিদা দিনদিন বেড়েই চলেছে। এক্ষেত্রে অনেকেই সকল বিষয় বিবেচনা না করেই সিদ্ধান্ত গ্রহন করে থাকেন এবং পরবর্তিতে হয়তো বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন। যার ফলে নষ্ট হচ্ছে সময় শ্রম এবং গুনতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। একজন ক্রেতা হিসেবে আপনি কখনই এমনটি কামনা করছেন না। অতএব সিদ্ধান্ত গ্রহনের পূর্বে অবশ্যই আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
বিবেচ্য বিষয়সমূহঃ
১. আপনি কতটুকু জায়গা ক্যামেরার আওতায় নিতে চান তার জন্য কতগুলো ক্যামেরা প্রয়োজন সেটি ভালেভাবে গননা করুন। যদিও যারা নেটওয়ার্কিং এর কাজ করে তারা ক্যামেরা প্রতি বিল করবে কিন্তু আপনার স্থানটি যদি বিক্রেতার থেকে বেশি দূরে বা রিমোট অঞ্চল হয় তবে সে পরবর্তিতে হয়তো দু একটি ক্যামেরার জন্য যেতে রাজি নাও হতে পারে।
২. যেহেতু নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ক্যামেরা ব্যবহার করবেন অতএব আপনার ক্যামেরা নিরাপদে আছে কিনা সে দিকটি বিবেচনা করুন। প্রয়োজনে ক্যামেরাকে নিরাপত্তা দিতে আরও কিছু ক্যামেরা ব্যবহার করুন।
৩. আপনি যে রুম বা খোলা এরিয়ায় নজরদারী করতে চান তার সিমানা বিবেচনা করুন। কেউ ভালো বলছে বিধায় ছোট জায়গায় বেশি দামের ক্যামেরা ব্যবহার যেমন মূল্যহীন তেমনি বড় জায়গায় কমদামের ক্যামেরা ব্যবহার করাও ঠিক হবে না। এক্ষেত্রে ক্যামেরার আইআর এবং ডিগ্রি নিশ্চিত হয়ে নিন।
৪. ক্যামেরার লেন্স কত মেগাপিক্সেল, নাইট ভিশন আছে কিনা, এসি না ডিসি দিয়ে চালাতে হবে, সকল ধরনের ডিভিআর বা এনভিআর সাপোর্ট করে কিনা এবং ওয়্যারেন্টির বিষয়টিও নিশ্চিত হয়ে নেয়া ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৫. ডিভিআর বা এনভিআর এর বিভিন্ন কোয়ালিটি বাজারে থাকতে পারে সেক্ষেত্রে বিক্রেতার সাথে আলাপ করে দাম একটু বেশি গেলেও ভালো মানেরটি ক্রয় করাই ক্রেতার জন্য ভালো। কখনো কখনো এমন হয়, আমরা লাইভ ভিডিও যেমন দেখি, সেইভ করা ভিডিও কোয়ালিটি তেমন আসছে না।
৬. ক্যামেরা সেট করার জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে কিনা সেটি অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে কারন ডুম ক্যামেরা দেখতে সুন্দর হলেও বাহিরে ব্যবহারের উপযোগী না। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়াটার প্রুফ বুলেট ক্যামেরা ব্যবহার করতে হবে।
৭. ক্যামেরাগুলো কি স্থির থাকবে নাকি মুভ করবে তাও বিবেচনা করতে হবে। কারন মুভিং মটর দিয়ে যেমন মুভ করা যায় আবার এখন কিছু আইপি ক্যামেরা আছে যা দ্বারা সহজেই মুভ করানো যায়। আবার কিছু ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা আছে যার একটি ক্যামেরা রুমের মাঝে সেট করলে পুরো রুম দেখা যায়।
৮. দূরবর্তী স্থান থেকে লাইভ ভিউ করতে চাইলে ক্যামেরা এবং মোবাইল বা কম্পিউটার দুটোতেই ইন্টারনেট থাকতে হবে এবং ডিভিআর, এনভিআর মেশিনে সঠিকভাবে আইপি কনফিগার করতে হবে। কিছু আইপি ক্যামেরা আছে যার জন্য এনভিআর মেশিন না থাকলেও শুধুমাত্র সফটওয়্যার দিয়েও মনিটরিং করা যায়।
৯. ভবিষ্যত প্রমান হিসেবে ভিডিও সেইভ রাখতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে হার্ডডিস্ক ব্যবহার করতে হবে। বিবেচনা করতে হবে আপনার ক্যামেরার সংখ্যা এবং কতদিন ডাটা সংরক্ষন করতে চান। কেননা এর উপর নির্ভর করছে আপনার কত পরিমাপের হার্ডডিস্ক প্রয়োজন।
১০. ক্যামেরা, ডিভিআর বা এনভিআর ইত্যাদি বিভিন্ন দামের হয়ে থাকে। অতএব পুরো প্রজেক্ট সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করতে আপনার বাজেট কত লাগতে পারে এটিও বিবেচ্য বিষয়। এক্ষেত্রে কয়েকটি প্লান তৈরি করে আপনার জন্য সঠিক সিদ্ধান্তটি গ্রহন করুন।
সিসিটিভি ক্যামেরা প্যাকেজ ক্রয়ের সময় উপরোক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনা করলে আশা করি আপনি সময়, শ্রম এবং অর্থ সবদিক থেকে লাভবান হতে পারবেন। আমাদেরও ক্যামেরা বিক্রয় এবং সেটআপ দুটো সার্ভিসই চালু আছে। বিশ্বস্থতার সাথে পুরো প্রক্রিয়া সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে চাইলে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।
মোবাইলঃ 01733761771, 01718928077
আমাদের সংগ্রহে থাকা ক্যামেরা গুলো দেখতে ক্লিক করুন